পৃষ্ঠাসমূহ

শুক্রবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১২

Industrial production engineering (ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং)

ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং


ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে প্রডাক্ট ডিজাইন, ম্যানুফ্যাকচারিং প্রসেসসহ প্রকৌশলের মৌলিক বিষয় এবং শিল্পপ্রতিষ্ঠান ব্যস্থাপনা-সংক্রান্ত বিষয়সমূহ পড়ানো হয়ে থাকে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সহ (বুয়েট), রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট), শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) এ বিষয়ে স্নাতক পড়ানো হচ্ছে।
বুয়েটে আসনসংখ্যা ৩০টি। এখানে আবেদনের জন্য উচ্চমাধ্যমিকে গণিত, রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান—এই তিনটি বিষয়ের প্রতিটিতে গ্রেড পয়েন্ট ৫ এবং ইংরেজিতে কমপক্ষে গ্রেড পয়েন্ট ৪ থাকতে হবে। বিস্তারিত তথ্য: buet.ac.bd ওয়েবসাইটে এবং ফোন: ০২-৯৬৬৫৬৫০-৮০।
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসনসংখ্যা ৩০টি। আবেদনের জন্য মাধ্যমিকে জিপিএ-৪ থাকতে হবে। উচ্চমাধ্যমিকে গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন—এই তিনটি বিষয়ের প্রতিটিতে কমপক্ষে গ্রেড পয়েন্ট ৪ এবং ইংরেজিতে কমপক্ষে ৩.৫-সহ মোট গ্রেড পয়েন্ট ১৭.৫ থাকতে হবে। (তথ্যসূত্র: ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০১১)। বিস্তারিত তথ্য: ruet.ac.bd ওয়েবসাইটে এবং ফোন: ০৭২১-৭৫০৭৪২-৩।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) আসনসংখ্যা ৬০টি। আবেদনের জন্য মাধ্যমিকে জিপিএ-৪ থাকতে হবে। উচ্চমাধ্যমিকে গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন—এই তিনটি বিষয়ের প্রতিটিতে কমপক্ষে গ্রেড পয়েন্ট ৩.৫ এবং ইংরেজিতে কমপক্ষে ৩-সহ মোট গ্রেড পয়েন্ট ১৮ থাকতে হবে। বিস্তারিত তথ্য: kuet.ac.bd ওয়েবসাইটে এবং ফোন: ০৪১-৭৬৯৪৭১।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) আবেদন করতে হলে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক মিলে জিপিএ ৬.৫ থাকতে হবে। সেই সঙ্গে গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন প্রতিটি বিষয়ে কমপক্ষে ৩.৫ গ্রেড পয়েন্ট থাকতে হবে। বিস্তারিত তথ্য: sust.edu ওয়েবসাইটে।
আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে হলে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক মিলে জিপিএ-৮ থাকতে হবে। সেই সঙ্গে গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন প্রতিটি বিষয়ে কমপক্ষে ৩.৫ গ্রেড পয়েন্ট থাকতে হবে। বিস্তারিত তথ্য: aust.edu ওয়েবসাইটে এবং ফোন: ০২-৮৮৭০৪২২।

Source: http://prothom-alo.com/detail/date/2012-09-19/news/290586

Aeronautical Engineering (অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং)

অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং

এখন দেশেই পড়া যাচ্ছে অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং। এয়ারক্রাফটের দীর্ঘ দেহের নানা কলকবজার রক্ষণাবেক্ষণ, নির্মাণশৈলী ও কর্মকৌশল নিয়ে পাঠ দেওয়া হয় এখানে। এর সঙ্গে যান্ত্রিক, ইলেকট্রনিক ও রাডারের কার্যক্রম সম্পর্কেও ধারণা দেওয়া হয় এই প্রকৌশলবিদ্যায়।
বিএসসি ইন অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ানো হয় মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে (এমআইএসটি)। আসনসংখ্যা ৬৫টি। এমআইএসটির ভর্তিবিষয়ক যেকোনো তথ্য জানতে ভিজিট করা যাবে mist.ac.bd ওয়েবসাইটে, কিংবা ৮০৩৫৪১৯ ও ০১৬৮০৩২১০৫৬ নম্বরে ফোন করে জেনে নেওয়া যেতে পারে বিস্তারিত তথ্য।
এ ছাড়া এ বিষয়ে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করা যাবে কলেজ অব অ্যাভিয়েশন টেকনোলজিস, সেক্টর-১১, রোড-০২, বাড়ি-১৪, উত্তরা, ঢাকায়। ফোন: ০১৯৩৭১৮২৪৭০, ৮৯৯১৩৭১। বিস্তারিত তথ্য: catechedu.com ওয়েবসাইটে।
মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে (এমআইএসটি) আবেদন করতে চাইলে শিক্ষার্থীর বিজ্ঞান বিভাগ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে ন্যূনতম জিপিএ-৪ থাকতে হবে। এখানে ভর্তির ক্ষেত্রে চারটি বিষয়ের গুরুত্ব রয়েছে। পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত ও ইংরেজি—এই চারটি বিষয়ের দুটিতে গ্রেড পয়েন্ট ৪-সহ সবগুলোতে কমপক্ষে ৩.৫ গ্রেড পয়েন্ট থাকতে হবে। এখানে ২০১১ ও ২০১২ সালে উচ্চমাধ্যমিকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। অন্যদিকে, স্নাতক পর্যায়ে কলেজ অব অ্যাভিয়েশন টেকনোলজিতে যেকোনো বছরে পাস করা শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। ভর্তির আবেদনের ক্ষেত্রে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে আলাদাভাবে ন্যূনতম জিপিএ ২.৫ থাকতে হবে।

Source: http://prothom-alo.com/detail/date/2012-09-19/news/290586

Petroleum Engineering (পেট্রোলিয়াম ইঞ্জিনিয়ারিং)

পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং হচ্ছে ভূগর্ভস্থ সম্পদবিষয়ক প্রকৌশল। এখানে বিভিন্ন পেট্রোলিয়ামজাত সম্পদ যেমন: তেল, কয়লা, গ্যাসের অনুসন্ধান, উত্তোলন, পরিশোধন-সম্পর্কিত বিষয়গুলো পড়ানো হয়। এ বিষয়ে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করা যাবে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েটে)। আসনসংখ্যা ৩১টি। ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে হলে উচ্চমাধ্যমিকে গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও ইংরেজি—এই চার বিষয় মিলিয়ে কমপক্ষে ১৭ গ্রেড পয়েন্ট থাকতে হবে। তবে কোনো বিষয়ে ৩-এর নিচে পাওয়া যাবে না, আর মাধ্যমিকে থাকতে হবে জিপিএ-৪। বিস্তারিত তথ্য: ০১৫৫৫ ৫৫৫০১১-১২, cuet.ac.bd
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েও (যবিপ্রবি) পড়া যাবে পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং। আসন ৩০টি। যবিপ্রবির ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে হলে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক মিলিয়ে জিপিএ থাকতে হবে ৬.৫। বিস্তারিত তথ্য: ০১৫৫২২০০৫৫৩-৫৪, jstu.edu.bd
এ ছাড়া পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মিনারেল রিসোর্স বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করার সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট)। বিস্তারিত তথ্য: buet.ac.bd ওয়েবসাইট এবং ০২-৯৬৬৫৬৫০-৮০ ফোন নম্বর।


source: http://prothom-alo.com/detail/date/2012-09-19/news/290586

শনিবার, ১১ আগস্ট, ২০১২

Freelancing - How to Start (ফ্রিল্যান্সিং – যেভাবে শুরু করবেন)

ফ্রিল্যান্সিং – যেভাবে শুরু করবেন

বর্তমানে ফ্রীল্যান্সিং একটি জনপ্রিয় কর্মক্ষেত্র। খুব সহজে এবং বিনা পুজিতে আপনি ফ্রীল্যান্সিং শুরু করতে পারেন। আমামদের দেশে অনেক প্রতিভা আছে, আছে অনেক সম্ভাবনা শুধু দরকার তাদেরকে সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করা। শুধু মাত্র সঠিক তথ্য এবং দিকনির্দেশনার অভাবে আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি। আমার এই লেখাতে আমি চেষ্টা করব, কিভাবে আপনি ফ্রীল্যান্সিং শুরু করবেন।

ফ্রীল্যান্সিং কি? সহজ কথায় ফ্রীল্যান্সিং হল অন্য কার কাজ করে দেয়া। আমামদের দেশে ফ্রীল্যান্সিং বলতে আমরা বুঝি অন্য দেশের কাজ একটা মার্কেটপ্লেস থেকে যোগাযোগ করে, কাজ নেয়া এবং সেটা করা।

ফ্রীল্যান্সিং এর ক্ষেত্র - odesk. Elance, freelancer, আরও অনেক সাইট রয়েছে যেখানে আপনি বিনা মুল্লে নিবন্ধিত হতে পারেন এবং কাজ শুরু করতে পারেন।

ফ্রীল্যান্সিং এর সুবিধা- ফ্রীল্যান্সিং এর  অনেক সুবিধা আছে, যেমন আপনি নিজে নিজের কাজ ঠিক করতে পারছেন, নিজের পছন্দ মত কাজ বেছে নেয়ার সুযোগ, মার্কেট সম্পর্কে ধারনা পাবেন, আন্তর্জাতিক মানের কোম্পানির সাথে কাজ করার সুযোগ, নিজের পরিচয় এবং কাজকে অন্যকে জানাতে পারছেন, অবশ্যই আপনি উপার্জন করছেন, আপনার দক্ষতা যাচাই করার সুযোগ পাচ্ছেন, সর্বোপরি এই বিশ্বায়নের যুগে নিজেকে প্রস্তুত করতে পারছেন।

কি কি ফ্রীল্যান্সিং করতে পারেন- অনেক ধরনের কাজ আছে, আপনি আপনার পছন্দ এবং যোগ্যতা অনুযায়ী যেকোনো কাজ করতে পারেন। তবে আপনি যে কাজটি করবেন, তার একটি নুন্নতম মান থাকা ভাল বলে আমার মনে হয়। ওয়েব ডিজাইন, প্রোগ্রামিং, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইযেসান, লেখালেখি, ডিজাইন করা, অ্যাপলিকেসান ডেভেলপমেন্ট করা ইত্যাদি আপনাকে ভিন্ন উচ্চতাই নিয়ে যেতে পারে। শুধু মাত্র টাকা উপার্জন করার জন্য ফ্রীল্যান্সিং করা এবং নিজের অমূল্য সময় নষ্ট করা একই কথা। আপনাকে অবশ্যই এমন কাজ বেছে নেয়া উচিত যেটা আপনার ভবিষ্যতে কাজে লাগবে। আপনি এমন কাজ করেন, যেটা দিয়ে আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন, গর্ব করতে পারবেন এবং ভবিষ্যতে আপনার কাজে লাগবে।

ফ্রীল্যান্সিং এর জন্য চাই সঠিক দিকনির্দেশনা – সঠিক দিকনির্দেশনা পেলে, আপনিও হতে পারেন একজন সফল ফ্রিলানসার। এক্ষেত্রে আমার পরামর্শ হল, গতানুগতিক কোন প্রথিষ্ঠান না গিয়ে, সফল ফ্রিলানসারদের সহযোগিতা নেয়া, তাদের কাছ থেকে সরাসরি হাতে কলমে শিক্ষা নেয়া, কেননা তারা কাজ করেছে , তারা জানে কথাই ভুল হয়, কোনটা করা ভাল আর কোনটা করা ঠিক না।

নিজেকে ফ্রীল্যান্সিংএর জন্য তৈরি করুন- প্রথমে কোন কিছু  না জেনে, ফ্রীল্যান্সিং শুরু করা ঠিক না। প্রথমে নিজেকে তৈরি করুন এবং এরপর শুরু করুন। খুব ভাল হয়, আপনি যদি কোন একটা বা একাধিক কাজের উপর প্রশিক্ষন নেন। যেমন ধরুন, ওয়েব ডিজাইন এর কথা HTML, CSS দিয়ে আপনি কাজ শুরু করতে পারেন এবং কাজ করতে করতে নিজেকে আর দক্ষ করে তুলতে পারেন। কাজ করার জন্য সময় নির্বাচন, কমপিউটার এবং অন্য সব কিছু ঠিক করে নিতে হবে এবং সর্বোপরি নিজেকে কাজ করার উপযোগী করে তুলতে হবে এবং আমি আবার বলছি, এক্ষেত্রে প্রশিক্ষন এর কোন বিকল্প নেই। আপনার নিজের কিছু কাজের নমুনা, (Portfolio), কোন নিজস্ব ব্লগ, ফোরাম আপনাকে অন্নদের থেকে এগিয়ে রাখবে, এর যদি আপনার নিজস্ব ওয়েব পেইজ থাকে তাহলে অনেক ভাল হয়।  


**
Source: https://www.facebook.com/groups/uddokta/doc/350904824989630/

সোমবার, ৬ আগস্ট, ২০১২

Graphic Designer (গ্রাফিক ডিজাইনার)

সৃজনশীল পেশাগুলোর মধ্যে গ্রাফিক ডিজাইনার অন্যতম। গ্রাফিক ডিজাইনাররা ভেবে ভেবে একটি বিষয়ের আইডিয়া বের করেন। তারপর সেই আইডিয়াটিকে ছবি, কথা ও লেখার মিশেলে জীবন্ত করে তোলেন দর্শকের সামনে। গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে আপনার সৃজনশীলতার ছোঁয়া লাগতে পারে যেকোনো প্রকাশনায়, কোনো একটি পণ্যের ব্রশিওরে। কিংবা কোনো প্রতিষ্ঠানের লোগো বানানোও হতে পারে আপনার কাজ।
যেখানে স্বাধীনতা: মজার ব্যাপার হলো, গ্রাফিক ডিজাইনারদের কোনো রকম অফিসের বালাই নেই। নিজের ঘরটাই অফিস, কাজের সময়সীমা নিজের হাতেই। ইচ্ছে হলো ভোর পাঁচটায়, নয় তো রাত দুইটায়—কাজ চলবে আপনার ইচ্ছেমতো। প্রশিক্ষণ: আমাদের দেশে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে গ্রাফিক ডিজাইন বিষয়টি পড়ানো হয়। সেসব ডিগ্রি থাকলে তো কথাই নেই। আছে ডিপ্লোমা কোর্সও। আর কিছু না হলে শেষ ভরসা—অভিজ্ঞ একজনের শিষ্য হয়ে যাওয়া।
আপনার মধ্যে যদি সৃজনশীলতা থাকে, তবে দেশে বসেই বিদেশে আঁকাআঁকির কাজ করতে পারেন। প্রযুক্তির প্রতিনিয়ত উন্নতি আর নানা ধরনের সুবিধার পাশাপাশি বদলে যাচ্ছে কাজের ক্ষেত্রও। নতুন নানা ক্ষেত্র সৃষ্টি হচ্ছে কাজের, যেখানে রয়েছে নানাভাবে কাজ করার সুবিধা। এককভাবেও করা যায় অনেক কাজ।ইন্টারনেট যখন হাতের মুঠোয়, তখন ঘরে বসে আয় করাটা তেমন কঠিন নয়। কম্পিউটার প্রযুক্তির কারণে যারা একটু একটু সৃজনশীল তাদের পক্ষে গ্রাফিক ডিজাইন করাটা এখন বেশ সহজ। আর ইন্টারনেটের কারণে আউটসোর্সিং কাজের যে ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে, সেটিতে গ্রাফিক ডিজাইনের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।ব্যক্তিগতভাবেই এ কাজ শুরু করা সম্ভব।
গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ
কম্পিউটারনির্ভর গ্রাফিক ডিজাইন অনেকেই এখন করে থাকেন নানাভাবে। সাধারণত মুদ্রণ ও ওয়েব মাধ্যমে নানা ধরনের কাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে গ্রাফিক ডিজাইন। দেশে বসেও দেশের বাইরের গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ করা যায় এখন।গড়ে তোলা যায় নিজের পেশা। শুরুর দিকে এ খাতে কাজের ক্ষেত্র সীমিত হলেও ধীরে ধীরে তা বাড়ছে। এখন এ ধরনের কাজ দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও করছে, যেখানে চাকরিও পাওয়া যায়। বিভিন্ন ধাপের গ্রাফিকসের কাজের মধ্যে সহজ কাজগুলো হচ্ছে নির্দিষ্ট সফটওয়্যারের মাধ্যমে ছবি সম্পাদনা, ছবি ঠিকঠাক করা ইত্যাদি। এসব করার জন্য ওই সফটওয়্যারের ওপর দক্ষতাই যথেষ্ট। তবে শুধু এসবই নয়, ওয়েবসাইট ডিজাইনসহ গ্রাফিকসের বিভিন্ন কাজও এখন হচ্ছে। গণমাধ্যমের মধ্যে মুদ্রণ, ওয়েবসাইটসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রেই ব্যবহূত হচ্ছে এ ধরনের কাজ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গণমাধ্যমসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এ কাজগুলো অন্য দেশ থেকে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে করিয়ে থাকে। যেসব দেশ এ কাজগুলো করে থাকে, তার মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে। তবে এককভাবে এ কাজগুলো করা কিছুটা কঠিন। এ জন্য যারা গ্রাফিকসের কাজে দক্ষ তারা এ ধরনের প্রতিষ্ঠানে যুক্ত হয়ে শুরুটা করাই ভালো বলে অভিজ্ঞরা মনে করেন।
রয়েছে যথেষ্ট সম্ভাবনা
ধীরে ধীরে বাড়তে থাকা কাজের মধ্যে বর্তমানে গ্রাফিক ডিজাইনে রয়েছে যথেষ্ট সম্ভাবনা। গ্রাফিকসের নানা ধরনের কাজের মধ্যে রয়েছে ছবি সম্পাদনা (ক্লিপিং পাথ), ছবির দাগ দূর করা এবং ছবির বিভিন্ন ধরনের সম্পাদনা ও সংযুক্তি (ইমেজ এনহান্সমেন্ট), ওয়েবসাইটের টেম্পলেট তৈরি, ওয়েবসাইটের পটভূমি, ব্যানার, বাটন, আইকন, নিবন্ধন ও লগ-ইন ফরম, বিজনেস কার্ড ইত্যাদি। জানালেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান জানালা বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তামজিদ সিদ্দিক। তিনি জানান, এ কাজের জন্য অ্যাডবি ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর আর নির্দিষ্ট কিছু সফটওয়্যারের কাজ জানাই যথেষ্ট।
যেভাবে করবেন
গ্রাফিক ডিজাইন করার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা খুব বেশি যে লাগবে তা নয়। সাধারণভাবে মাধ্যমিক পর্যায় শেষ করেও এ কাজে যুক্ত হওয়া যায়। তবে উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণ হওয়ার পর এ কাজ করা সহজ হয়। কারণ কাজের ক্ষেত্রে নানা সময়ে ইংরেজি ভাষার ব্যবহার করতে হয়। তাই ইংরেজিতে দক্ষতা থাকা ভালো। প্রাথমিকভাবে নির্দিষ্ট সফটওয়্যারগুলোর কাজ জানা থাকলে প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পাওয়া সহজ হয়। পরবর্তী সময়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ হয়ে ওঠা সম্ভব।
শুধু গ্রাফিকসের কাজ পাওয়া যায় এমন ওয়েবসাইট রয়েছে বেশ কিছু। এসব ওয়েবসাইটে গ্রাফিকস-সংক্রান্ত কাজগুলো জমা রেখে আয় করা যায় আবার নির্দিষ্ট কাজও পাওয়া যায়। এমনই একটি ওয়েবসাইট হচ্ছে থিমফরেস্ট (www.themeforest.net)। যেখানে একজন ডিজাইনার ওয়েবসাইটের টেম্পলেট বা পূর্ণাঙ্গ ডিজাইন বিক্রি করতে পারেন। শুধু গ্রাফিকসের নানা ধরনের কাজ নিয়ে রয়েছে গ্রাফিক রিভার (www.graphicriver.net) সাইট। এ ধরনের আরও কিছু ওয়েবসাইটের মধ্যে রয়েছে ফ্ল্যাশডেন (www.flashden.com), অডিওজঙ্গল (www. audiojungle.net), ভিডিওহেইভ (www.videohive.net) ইত্যাদি। এ পাঁচটি ওয়েবসাইট নিয়ে গঠিত হয়েছে এনভাটো মার্কেটপ্লেস। এনভাটো (www.envato.com) মার্কেটপ্লেসের এ পাঁচটি ওয়েবসাইটের যেকোনো একটিতে কিছু তথ্য দিয়ে বিনা মূল্যে নিবন্ধনের মাধ্যমে সবগুলো সাইটের সদস্য হওয়া যায়। সদস্য হওয়ার পর এসব সাইটের সম্পূর্ণ টেম্পলেট ডিজাইন করতে হবে না, বরং একটি সাইটের বিভিন্ন গ্রাফিকস আলাদা আলাদাভাবে তৈরি করে বিক্রি করা যাবে।এসব সাইটের নানা ধরনের কাজের মধ্যে রয়েছে ওয়েবসাইটের ব্যাকগ্রাউন্ড, ব্যানার, লগইন ফরম, বিজনেস কার্ডসহ আরও বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন তৈরির কাজ। এসব সাইটে একটি ডিজাইন একাধিকবার বিক্রিও করা যায়। সাইটগুলোর অসংখ্য বিভাগের মধ্য থেকে নিজের ইচ্ছেমতো যেকোনো ধরনের ডিজাইন তৈরি করে বিক্রি করা যাবে।তবে সাইটের নিয়ম অনুযায়ী ডিজাইন জমা দেওয়া জরুরি। শুধু ডিজাইন নিয়ে আরেকটি ওয়েবসাইট হলো নাইন্টিনাইন ডিজাইনস (www.99designs.com)। এ সাইটটি শুধু ডিজাইনারদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। এই সাইটে ওয়েবসাইট ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, বাটন ও আইকন ডিজাইন, টি-শার্ট ডিজাইন ও ব্যানার ডিজাইনের কাজ পাওয়া যায়। এখানে প্রত্যেকটি ডিজাইন সম্পন্ন করার জন্য ক্রেতা বা ক্লায়েন্ট একটি উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। প্রতিযোগিতায় যে কেউ অংশগ্রহণ করতে পারে এবং ক্রেতার নির্দেশ অনুযায়ী ডিজাইনাররা ডিজাইন তৈরি করে। এতে সহজে নিবন্ধনের মাধ্যমে নির্দেশনা অনুযায়ী ডিজাইন তৈরি করতে হয়।
শুরু করতে পারেন নিজেই
যাঁদের দক্ষতা রয়েছে এ ধরনের কাজে, তাঁরা নিজেরাই শুরু করতে পারেন এ কাজটি। এ ক্ষেত্রে ন্যূনতম ১০ জনের একটি দল নিয়ে নিজেই শুরু করতে পারেন এই কাজ। তবে এ ক্ষেত্রে দক্ষ জনবল ছাড়াও কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট সংযোগ জরুরি। প্রয়োজনীয়সংখ্যক কম্পিউটারের পাশাপাশি ইন্টারনেট সংযোগ-সুবিধা থাকতে হবে। তবে সবার আগে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা বিশেষভাবে জরুরি। মুক্ত পেশাজীবীদের জন্য বিভিন্নভাবেই কাজ বাড়ছে। নানা ধরনের কাজও পাওয়া যাচ্ছে, যার মধ্যে গ্রাফিক ডিজাইনের চাহিদাও প্রচুর, বললেন ওয়েবক্রাফট লিমিটেডের পরিচালক জাকারিয়া চৌধুরী। তিনি বলেন, প্রথমে এককভাবে শুরু করে পরবর্তী সময়ে পেশা হিসেবে নেওয়ার ক্ষেত্রে এ কাজে রয়েছে যথেষ্ট সম্ভাবনা।
সময় এগিয়ে যাওয়ার
নানা ধরনের কাজের মধ্যে পেশা গড়ার জন্য অন্যতম একটি উপায় বলা যায় গ্রাফিকস ডিজাইনের কাজকে। দেশে কিংবা দেশের বাইরে কাজ করার ক্ষেত্র থাকায় এতে সহজে ভালো করা যাবে এবং নিজেকে গড়ে তোলা যাবে নিজের মতো করে। আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে এ কাজটি সহজে করা সম্ভব বলে যে কেউ নিজের আগ্রহের মাধ্যমে এ কাজে যুক্ত হতে পারেন। যথেষ্ট সম্ভাবনাময় এ খাতে কাজের ক্ষেত্রও বাড়ছে ধীরে ধীরে। এখন প্রয়োজন নিজেকে কাজের সঙ্গে তৈরি করে নেওয়া। তাহলে সহজেই লক্ষ্য অর্জন সম্ভব।
গ্রাফিক ডিজাইন শেখার কিছু ওয়েবসাইট
www.psdtuts.com
www.psdfan.com
www.pslover.com
www.nettuts.com
www.photoshopstar.com
www.good-tutorials.com
www.psdvibe.com
www.tutorialized.com
www.actionfx.com
www.photoshoproadmap.com
www.pixel2life.com
www.totaltutorials.com
www.deviantart.com
www.teamphotoshop.com
www.photoshoptopsecret.com
www.planetphotoshop.com

Glass and Ceramic Engineer (গ্লাস ও সিরামিক প্রকৌশলী)

গ্লাস ও সিরামিক প্রকৌশলী

 
বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশে বর্তমানে সিরামিকের স্থান তৃতীয়(২০০২-২০০৩)- এ তথ্যটি শোনার পর অনেকে চোখ কপালে তুললেও পরিসংখ্যান তাই বলে। বাংলাদেশেই এখন উৎপাদিত হচ্ছে বিশ্বের সর্বোৎকৃষ্ট মানের সিরামিক পন্য। মান ও ডিজাইনে এসব পন্য বিশ্বমানের হওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে এর চাহিদা বাড়ছে হু হু করে। দেশের বাজারেও সিরামিক পন্যের চাহিদা বাড়ছে বহুগুন। আর এ শিল্প বিকাশে যাদের শ্রম, নিষ্ঠা ও কারিগরি জ্ঞান বিশেষ ভুমিকা রেখেছে তারা হলেন গ্লাস ও সিরামিক প্রকৌশলী। এসএসসি’র পর অল্প সময়ে সমৃদ্ধ ক্যারিয়ার গড়ার জন্য গ্লাস ও সিরামিক বিষয় দুটি হতে পারে খুবই চমৎকার ও সময় উপযোগী।
চাকরির ক্ষেত্র
পাস করা ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন সিরামিক ও গ্লাস ইন্ডাস্ট্রিজ, রিফ্র্যাক্টরিজ, সিমেন্ট ও স্টিল মিল সহ এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দেশের আরো প্রায় ২০০ কারখানায় অনায়াসে চাকরি পেযে যাবে। এরাই এসব শিল্প কারখানার উৎপাদনে মুখ্য ভুমিকা পালন করে বলে কোম্পানিগুলোর কাছে এদের চাহিদা অনেক বেশি। তাই কাউকে বেকার থাকতে হয় না।
একজন সিরামিক বা গ্লাস প্রকৌশলী তার অভিজ্ঞতা ও কাজের দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে মাসে ১০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন ভাতা পেয় থাকেন।
বাড়ছে চাহিদা
বর্তমানে দেশ ও দেশের বাইরে  গ্লাস ও সিরামিক জাতীয় পন্যের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে। আমাদের লেবার কস্ট কম ও কাঁচামাল সহজ লভ্য হওয়ায় দেশের অনেক শিল্পউদ্দোক্তার পাশাপাশি বিদেশের অনেক বিনিয়োগকারীও এ খাতে বিনিয়োগ করছেন। ফলে চাহিদা সৃষ্টি হচ্ছে দক্ষ লোকবলের।
দেশে
বিদেশে

কোথায় পড়ব
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব গ্লাস অ্যান্ড সিরামিকস।
তেজগাঁও, ঢাকা-১২০৮।
ফোন-৯১১০৩১৯।
ভর্তির যোগ্যতা
ভর্তি ইচ্ছুক ছাত্রছাত্রীকে এসএসসি/সমমানের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাশ হতে হবে।

শনিবার, ৪ আগস্ট, ২০১২

Engineer (প্রকৌশলী)

 Engineer (প্রকৌশলী)

ক্যারিয়ার হিসেবে প্রকৌশলের চাহিদা সব সময় একই রকম ছিল এবং আছে। এর মধ্যে প্রকৌশল বিষয়ে যুক্ত হয়েছে আরো নতুন নতুন বিষয়। ক্যারিয়ার হিসেবে আকর্ষনীয় আয়, উজ্জল ভবিষ্যতের কারনে বাবা-মায়েদের কাছে ত বটেই, আজকালকার বহু তরুণ-তরুণীর কাছেই আরাধ্য বিষয়।

কি পড়বেনঃ

 পড়াশোনা

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়(বুয়েট),
ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,
মাওলানা ভাষানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়,
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
এছাড়া ও এখন প্রায় প্রত্যেক বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে ও প্রকৌশল বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নেওয়া যায়।
ভর্তির যোগ্যতা
উচ্চমাধ্যমিক পাশের পরই ভর্তি হওয়া যাবে।পড়তে পারবে শুধু বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয বিভিন্ন রকম যোগ্যতা চেয়ে থাকে, যার ভিত্তিতে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।
ভর্তি পরীক্ষা
উচ্চ মাধ্যমিক পাট্যসুচীর ভিত্তি করে গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ণ এবং ইংরেজি বিষয়ে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
চাকরি ক্ষেত্র
প্রকৌশল হিসেবে পাশ করে চাকরি মিলতে পারে টেলিযোগাযোগ, কম্পিউটার প্রতিষ্ঠান, শক্তি স্থাপনা, বহুজাতিক সংস্থা, শিল্প প্রতিষ্ঠান, মহাকাশ গবেষনা সংস্থা, বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, নির্মান প্রতিষ্ঠান এবং বিক্রয বিপনন ক্ষেত্রেও।

Lawyer (আইনজীবী)

 Lawyer (আইনজীবী)

অবজেকশন ইওর অনার! ঘটনার দিন আমার মক্কেল ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না। তিনি তাঁর কর্মস্থল ঢাকায় ছিলেন। আমার মক্কেল একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। তাঁকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে।
আদালতে আইনজীবীর এমন যুক্তিতর্ক আমাদের অনেকেরই জানা। শুনতে ভালো লাগে। অনেকেই চান বড় হয়ে এই পেশায়ই আসবেন। গাউন পরে বিচারকদের সামনে আইনি যুক্তি তুলে ধরবেন।আইন নিয়ে যাঁরা পড়াশোনা করেন, তাঁদের স্বপ্ন থাকে আইনজীবী হওয়ার। বাংলাদেশে আইনজীবী হিসেবে কাজ করতে চাইলে, আইনে স্নাতক ডিগ্রি নেওয়ার পর বাংলাদেশ বার কাউন্সিল থেকে নির্ধারিত প্রক্রিয়ায় নিতে হবে নিবন্ধন। নিবন্ধন না নিয়ে আইনজীবী হিসেবে কাজ করার কোনো সুযোগ পাবেন না আপনি।
শিক্ষানবিশি: একজন আইনের শিক্ষার্থীকে পড়াশোনা শেষ করে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নিবন্ধন নিতে তাঁকে কোনো জ্যেষ্ঠ আইনজীবীর অধীন ছয় মাস প্রশিক্ষণ (শিক্ষানবিশি) নিতে হবে। আর যাঁর অধীনে কাজ করবেন, তাঁর ন্যূনতম ১০ বছরের পেশাগত অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তবে পেশাগত প্রশিক্ষণের এ-সংক্রান্ত কাগজপত্রও আপনাকে তৈরি করে নিতে হবে। তাই যাঁর সঙ্গে কাজ করবেন, তাঁর সঙ্গে একটি চুক্তিপত্র আপনাকে করে নিতে হবে। তিনি একটি হলফনামা (এফিডেভিট) করে দেবেন আপনাকে। বাংলাদেশ বার কাউন্সিল নির্ধারিত সনদ, জ্যেষ্ঠ আইনজীবীর সঙ্গে চুক্তিপত্র, এফিডেভিটের কপি ও কাউন্সিল অনুকূলে ৪০০ টাকার ব্যাংক ড্রাফটসহ বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সচিব বরাবর জমা দিতে হবে। জ্যেষ্ঠ আইনজীবীর সঙ্গে চুক্তির ৩০ দিনের মধ্যে আবেদনটি বার কাউন্সিলে জমা দিতে হয়। তবে যাঁদের বার-অ্যাট ল বা পিএইচডি ডিগ্রি রয়েছে, তাঁদের ছয় মাসের পেশাগত প্রশিক্ষণ নিতে হবে না। বছরের যেকোনো সময় নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা যাবে।
তালিকাভুক্তি পেতে: নিবন্ধন পেতে যাঁরা আবেদন করবেন, তাঁদের আবেদন যাচাই-বাছাই করবে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল। আপনার আবেদন গৃহীত হলে আবেদনের ৬০ মাসের মধ্যে কাউন্সিল আপনাকে নিবন্ধন (রেজিস্ট্রেশন) কার্ড পাঠাবে। তাতে আপনার নিবন্ধন নম্বর উল্লেখ থাকবে। ছয় মাস পার হলে বার কাউন্সিল তাঁকে পরবর্তী নিবন্ধন পরীক্ষার জন্য নির্বাচন করবে। মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নিবন্ধন পরীক্ষা বছরে একবার হয়ে থাকে।
নিবন্ধনের ধাপ: পেশাগত প্রশিক্ষণ শেষ করে যাঁরা নিবন্ধনের জন্য আবেদন করবেন, তাঁদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় বসতে হবে। যাঁরা লিখিত পরীক্ষায় টিকবেন, তাঁরাই পরবর্তী সময়ে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন।

শনিবার, ১০ মার্চ, ২০১২

Pharmacist (ফা র্মা সি স্ট)

Pharmacist (ফা র্মা সি স্ট)

একজন ফার্মাসিস্ট যেমন পারেন ওষুধের যৌক্তিক এবং সঠিক মান নিশ্চিত করতে, তেমনি আমাদের জাতীয় আয় বৃদ্ধিতেও তিনি ভূমিকা রাখতে পারেন। কেননা আমাদের দেশের তৈরি ওষুধ এখন ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিশ্বের ৭০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। তাই দেশে যেমন এ পেশার চাহিদা রয়েছে তেমনি বিদেশেও রয়েছে উজ্জ্বল সম্ভাবনা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আবদুর রশীদ বলেন, আমাদের দেশের দক্ষ ও যোগ্যতাসম্পন্ন ফার্মাসিস্টদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় অতি অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বেশ সুনাম অর্জন করেছে এবং বাংলাদেশের তৈরি জীবন রক্ষাকারী ওষুধ আমাদের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে বহির্বিশ্বে রফতানি হচ্ছে।
সুতরাং দেশে তো বটেই বিদেশেও একজন দক্ষ ফার্মাসিস্ট ক্যারিয়ার গড়তে পারেন। বাংলাদেশের ৬টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ ২০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়ে ৪ বছর মেয়াদি স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ রয়েছে। বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা এ বিষয়ে পড়ার সুযোগ পাবেন।
কাজটা কী
ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ডিপার্টমেন্ট অনুযায়ী ফার্মাসিস্টের কাজের ধরন নির্ধারিত হয়। তবে সার্বিকভাবে বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের কাজের সমন্বয় করে ফার্মাসিস্টরা যে কাজগুলো করে থাকেন সেগুলো হল-ওষুধ গবেষণা ও উন্নয়ন, ওষুধের ফর্মুলা তৈরি, ওষুধ উত্পাদন, মান নিয়ন্ত্রণ ও বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বাজারজাতকরণ, টিকা আবিষ্কার এবং প্রতিষেধক উত্পাদন। এর বাইরেও ওষুধের কার্যকরণ সম্পর্কে অবহিত করার লক্ষ্যে ডাক্তারদের নিয়ে বিভিন্ন সেমিনার-সিম্পোজিয়াম, আলোচনা সভা ইত্যাদি পরিচালনা, র-ম্যাটেরিয়াল সোর্সিং নিশ্চিতকরণ, উত্পাদন পরবর্তী দাম নির্ধারণ, ওষুধের পরিমাণ নির্ধারণ, ফার্মাসিউটিক্যালস মেশিনারি সম্পর্কে ধারণা অর্জন এবং ওষুধের গুণগত মান নিশ্চিত করাও ফার্মাসিস্টের কাজ।
কোথায় মিলবে কাজ
ফার্মাসি ডিগ্রিধারীদের প্রধান কর্মক্ষেত্র হচ্ছে ফার্মাসিউটিক্যাল সেক্টর। সেখানে প্রোডাকশন, কোয়ালিটি কন্ট্রোল, মার্কেটিং, প্রোডাক্টস ডেভেলপমেন্ট অফিসার হিসেবে কাজ করার সুযোগ আছে। এ ছাড়া হসপিটাল ফার্মাসিস্ট, ক্লিনিক্যাল ফার্মাসিস্ট, কমিউনিটি ফার্মাসিস্ট হিসেবেও তারা কাজ করতে পারেন। এর বাইরে  বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি রিসার্চ অর্গানাইজেশন, সরকারি ওষুধ পরীক্ষাগার, ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরেও রয়েছে কাজের সুযোগ। সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষকতার সুযোগ তো রয়েছেই।
বিদেশে ফার্মাসিস্টদের কাজের ক্ষেত্র আরও বিস্তৃত। সেখানে ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিসহ হসপিটাল ফার্মাসিস্টদের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। তাছাড়া রিটেইল ফার্মাসিস্টদেরও চাহিদা রয়েছে যেখানে ফার্মাসিস্টরা ফার্মেসি নিয়ন্ত্রণ করেন এবং ফার্মাসিউটিক্যাল শপগুলোতে নির্বাহী হিসেবে কাজ করেন।
স্কয়ার হসপিটাল লিমিটেডের ফার্মাসি বিভাগের কর্মকর্তা মানিক চন্দ্র শীল বলেন, বিফার্ম ডিগ্রিধারীরা সাধারণত পেশাজীবনের শুরুতে ১৫-৩০ হাজার টাকা সন্মানীতে কাজ শুরু করেন। তবে সন্মানীর বিষয়টি কোম্পানির ওপর নির্ভর করে। পরবর্তীকালে অভিজ্ঞতা ও পদোন্নতি হলে লাখ টাকা সন্মানীও অর্জন করা সম্ভব।
পেশায় সফল হতে
মানিক চন্দ্র শীল বলেন, এ বিষয়ে ভালো করতে হলে পড়াশোনার বিকল্প নেই। যারা এ বিষয়ে গ্র্যাজুয়েশন করে এ পেশায় আসতে চায় তাদের যে কোর্স-কারিকুলামগুলো আছে সেগুলো
ভালোমতো অনুসরণ করতে হবে। বিশেষ করে হসপিটাল ফার্মাসিতে কাজ করতে গেলে ফার্মাকোলজি, বায়োফার্মাসিটিক্স,
ফার্মাসিউটিক্যাল টেকনোলজি, মাইক্রোবায়োলজি প্রভৃতি বিষয় খুব ভালো করে জানতে হবে। এছাড়া ফিজিওলজি অ্যানাটমি বিষয়েও জানতে হবে। কারণ একটি বিষয় আরেকটি বিষয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এছাড়াও বিষয়ভিত্তিক স্বচ্ছ ধারণা, সেবা ও গবেষণার মন-মানসিকতা, গবেষণার ধৈর্য, অনুসন্ধিত্সু মন, নতুন নতুন ওষুধ আবিষ্কার ও অনুমোদন সম্পর্কে আপডেট তথ্য এবং বিশ্বের বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির গবেষকদের সঙ্গে সার্বিক যোগাযোগ রাখতে পারাটাই এ পেশায় সাফল্যের মূলমন্ত্র।
source: http://goo.gl/RkEaU