পৃষ্ঠাসমূহ

মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর, ২০১১

স্থপতি

একজন মানুষের পরিচয় হচ্ছে তাঁর সংস্কৃতি। ভাষা, খাদ্য, পোশাক, জীবনযাপন—সবকিছুই এর অন্তর্ভুক্ত। এর পরই আসে স্থাপত্যের কথা। যেকোনো দেশের স্থাপত্যে সেই দেশের সংস্কৃতির প্রভাব পড়তে বাধ্য। চীন দেশের স্থাপত্য এক রকম, ইউরোপীয়দের অন্য রকম। আবার মোগল আমলের ভারত উপমহাদেশীয় স্থাপত্যের বৈশিষ্ট্যও আলাদা। তাই বলা হয়, স্থাপত্য হচ্ছে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড।
যাঁরা স্থাপত্যবিদ্যা পড়তে চান, তাঁদের বলব, এটি একটি স্বাপ্নিক জায়গা। পরিবেশকে সুন্দর করে গোছানোর একটি মাধ্যম হলো স্থাপত্যবিদ্যা। সভ্যতার বিকাশে স্থাপত্যবিদ্যা একটি হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে। স্থাপত্যবিদ্যা হচ্ছে বিজ্ঞান ও কলার সংমিশ্রণ। এটি শুধু কলা নয়, আবার শুধু বিজ্ঞানও নয়। স্থাপত্যকে এক সময় কলার অন্তর্ভুক্ত বলা হলেও কালক্রমে এটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর একটি বিষয় হয়ে উঠেছে।
স্থপতির কাজ ডিজাইন করা—বাংলায় বলা যেতে পারে ‘নকশা ও পরিকল্পনা প্রণয়ন’।মনে রাখতে হবে, প্রত্যেক স্থপতিই প্রকৌশলী, কিন্তু সব প্রকৌশলী স্থপতি নন। কর্মক্ষেত্রে উভয়ের মধ্যে স্পষ্ট পার্থক্য। একজন স্থপতি তাঁর স্থাপত্যের নকশা এবং নকশাসংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় দেখে থাকেন। আর সেই স্থাপত্যের কাঠামোগত ব্যাপারগুলোরই বাস্তবায়নে সার্বিক দায়িত্বে থাকেন একজন সিভিল বা স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার। (দেশের বাইরে এখন ‘সিভিল ইঞ্জিনিয়ার’ না বলে ‘স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার’ বলা হচ্ছে।) স্থপতি হচ্ছেন স্রষ্টা। তিনি সৃজনশীল মানুষ। তিনি পুরো প্রকল্পের রূপকার।
বাংলাদেশ বেশি মানুষের দেশ। মানুষ থাকলেই তো ঘরবাড়ি লাগবে। বাংলাদেশের মানুষের আর্থিক সক্ষমতা দিন দিন বাড়ছে। বাসস্থান নির্মাণের সুন্দর পরিকল্পনার জন্য স্থপতিদের চাহিদাও বাড়ছে দিন দিন। আমাদের দেশের মতো ঘন জনবসতিপূর্ণ দেশে স্থপতিদের কর্মক্ষেত্র দিন দিন প্রসারিত হবে, তা বলা বাহুল্য।এখনো দেশে প্রচুর স্থপতির চাহিদা রয়েছে। নতুনেরা যতই আসবে এ বিষয়ে পড়তে, স্থাপত্যের নতুন নতুন ধারণা ততই বিকশিত হবে।
বাংলাদেশে স্থাপত্যবিদ্যার ক্রমপ্রসার ঘটেই চলেছে। নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের মধ্যেও স্থাপত্য বিষয়ে বেশ আগ্রহ তৈরি হয়েছে।যাঁদের প্রকৌশলীর মন আছে, আবার আঁকাআঁকিরও শখ আছে, তাঁদের বলব স্থাপত্যবিদ্যায় পড়তে আসতে। শুধু আঁকতে চাইলে চারুকলায় পড়া ভালো। আর যাঁর দুটি মাধ্যমেই আগ্রহ আছে, তিনি স্থাপত্যবিদ্যায় ভালো করবেন। স্থাপত্য এমন একটি জায়গা যেখানে নিজের সৃষ্টিশীলতা খুবই ভালোভাবে প্রকাশ করা যায়। ভালো আঁকতে তো পারতেই হবে, তার পরও সবকিছু নিজের মতো করে দেখতে জানতে হবে। যেকোনো কিছুকেই দেখতে হবে অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে। তাহলেই সৃষ্টিশীলতার জায়গাটির উন্নতি হবে।
স্থাপত্যবিদ্যার সবখানে বিজ্ঞান ও শিল্পের সমাহার। একজন শিক্ষার্থীকে দুটি ক্ষেত্রেই দক্ষ হতে হয়। এখানে পড়তে এসে যদি কেউ আনন্দ পায়, তাহলে তাকে কেউ থামাতে পারবে না। এখানে পড়তে এটি জীবিকার বাহন হিসেবেও কাজ করবে, আবার মনের তৃপ্তিও মেটাতে পারবে। (সামসুল ওয়ারেস: বিশিষ্ট স্থপতি ও স্থাপত্যবিদ্যার শিক্ষক।)
এইচএসসি পাসের পর  শুরু হয়ে যায় জীবন গড়ার আয়োজন। কেউ চিকিৎসক, কেউ প্রকৌশলী, কেউ বা শিক্ষক হিসেবে জীবন সাজানোর জন্য হয়ে উঠেন ব্যতিব্যস্ত। তাঁদের মধ্যে অনেকেই আছেন, যাঁরা নিজেদের গড়ে তুলতে চান স্থাপত্যবিদ হিসেবে।
প্রতিবছর বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষার্থীদের একটি বিশাল অংশ স্থাপত্য বিভাগের ভর্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। তাই প্রস্তুতিটা হওয়া চাই যথার্থ। যেহেতু এর সিলেবাসের সঙ্গে এইচএসসির সিলেবাসের কোনো মিল নেই, তাই ভর্তি হতে ইচ্ছুক অনেক শিক্ষার্থী সমস্যায় পড়ে যান। তবে তাঁদের এসব সমস্যা অনেকাংশে দূর করে দেয় এই বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিজস্ব উদ্যোগে প্রকাশিত ভর্তি-সহায়িকাগুলো। এতে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষার সিলেবাস ও মৌলিক বিষয়গুলো সম্পর্কে অবগত হতে পারেন।
স্থাপত্যবিদ্যার অন্যতম আকর্ষণীয় জায়গাটি হলো এর সৃজনশীলতা। এর পাশাপাশি ব্যবহারিক জ্ঞানটি খুবই জরুরি। বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের প্রধান অধ্যাপক জেবুন নাসরিন আহমেদ বলেন, ‘স্থাপত্যবিদ্যায় ব্যবহারিক দিকটি অনেক বেশি। বাস্তবে যা ঘটছে, সে আলোকেই শিক্ষার্থীদের সমস্যাগুলো দেওয়া হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে বইভিত্তিক জ্ঞানেরও দরকার আছে, তবে বাস্তব জ্ঞানের কোনো তুলনা হয় না। কারণ শিক্ষার্থীরা তাদের অর্জিত বাস্তব জ্ঞানের আলোকেই সমস্যাগুলো সমাধান করে থাকে। বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত অপরিকল্পিত আবাসনব্যবস্থা গড়ে উঠছে। আর পরিকল্পনামাফিক পরিবেশবান্ধব স্থাপনা গড়ে তোলার মধ্যেই একজন স্থপতির সার্থকতা।’
বর্তমানে আমাদের দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দরকার হচ্ছে প্রয়োজনীয়সংখ্যক আবাসনের। আর উপযুক্ত স্থানে সঠিক পরিকল্পনায় বাসস্থান নির্মাণের ক্ষেত্রে স্থপতিদের কোনো বিকল্প নেই। বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেশে স্থাপত্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। দেশে জনসংখ্যা বাড়ছে, বসতবাড়ি বাড়ছে। কিন্তু বাড়ছে না বসতি জমির পরিমাণ। স্বল্প জায়গা ব্যবহার করে পরিবেশ-উপযোগী করে বসতি নির্মাণের দিকেই মানুষের মনোযোগ আজকাল বেশি।
স্থপতি নাহাস খলিল বলেন, ‘একটি দেশের সামগ্রিক স্থাপত্য সে দেশের সমাজব্যবস্থা এবং মানুষের চাহিদার ওপর নির্ভর করে। এখানে স্থপতিরা চাইলেই নিজেদের ইচ্ছামতো কিছু করতে পারেন না। লুই আই কান সংসদ ভবনের নকশা করতে পেরেছিলেন। কারণ এ সুযোগটা বাংলাদেশ সরকার তাঁকে দিয়েছিল। মানসম্মত স্থাপত্যের জন্য প্রয়োজন উন্নত চিন্তাভাবনা। বাংলাদেশে প্রচুর মেধা রয়েছে। অনেক ভালো কাজ তাঁরা করছেন। ধীরে ধীরে দেশের মানুষও এখন এ বিষয়ে সচেতন হচ্ছে। দেখা যায়, কোনো চিপা গলিতে বাড়ি নির্মাণের জন্যও মানুষ স্থাপতিদের কাছে যাচ্ছে। কারণ তারা স্থপতিদের ওপর নির্ভর করতে পারছে। তাই নিকট ভবিষ্যতে বাংলাদেশের স্থাপত্য একটি বিশ্বমানের জায়গায় পৌঁছাবে বলে আশা করা যায়।’

কোথায় পড়ব স্থাপত্য

বুয়েট: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) স্থাপত্য বিভাগে প্রথম বর্ষে আসনসংখ্যা ৫৫। এখানকার ভর্তিযুদ্ধে অংশ নিতে হলে আপনাকে এইচএসসি অথবা সমমানের পরীক্ষায় গণিত, পদার্থ, রসায়ন ও ইংরেজিতে মোট স্কোর জিপিএ-১৯ হতে হবে।
বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষায় ‘ক’ ও ‘খ’—এই দুটি বিভাগ থাকে। ‘ক’ বিভাগ থেকে শুধু প্রকৌশলে এবং ‘খ’ বিভাগ থেকে একই সঙ্গে প্রকৌশল ও স্থাপত্যে ভর্তি হতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা ভর্তি ফরম সংগ্রহ করতে পারেন। খ বিভাগের পরীক্ষার্থীদেরও গণিত, পদার্থ, রসায়ন ও ইংরেজি পরীক্ষা দিতে হবে। ৬০০ নম্বরের তত্ত্বীয় ও ৪০০ নম্বরের মুক্তহস্ত অঙ্কন পরীক্ষা দুটি একই দিনে অনুষ্ঠিত হয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য বুয়েটের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন: www.buet.ac.bd
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপত্য বিভাগের জন্য আসনসংখ্যা ৩৫। এখানে আবেদন করতে হলে এইচএসসিতে পদার্থ, গণিত, রসায়ন ও ইংরেজিতে মোট জিপিএ-১৫ পেতে হবে। ভর্তি পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের একটি মুক্তহস্ত অঙ্কন পরীক্ষা হয়ে থাকে। বিস্তারিত তথ্যের জন্য দেখুন: www.ku.ac.bd
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট: এই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগে আসনসংখ্যা ৩০। ২০১০-০৯ এইচএসসি বা সমমান এবং ২০০৮-০৭ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। এখানে ‘এ’ ও ‘বি’ দুটি ইউনিট রয়েছে। স্থাপত্য ‘বি’ ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত। যেসব শিক্ষার্থী বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করেছেন, তাঁরা দুটি ইউনিটেই এবং অন্যরা শুধু ‘এ’ ইউনিটে আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করার জন্য এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান উভয় পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ-৩সহ মোট জিপিএ-৬.৫০ থাকতে হবে। জিসিই ‘ও’ লেভেলে কমপক্ষে তিনটি বিষয়ে ‘বি’ গ্রেডসহ পাঁচটি বিষয়ে পাস এবং জিসিই ‘এ’ লেভেলে কমপক্ষে দুটি বিষয়ে ‘বি’ গ্রেডসহ তিনটি বিষয়ে পাস থাকতে হবে। বিস্তারিত জানতে দেখুন www.sust.edu ওয়েবসাইটে।
চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট): চুয়েটে স্থাপত্য বিভাগে আসনসংখ্যা ৩০। ভর্তি পরীক্ষায় দুটি বিভাগ আছে। প্রকৌশল এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগসমূহ ‘ক’ বিভাগের অন্তর্ভুক্ত। ‘খ’ বিভাগে প্রকৌশল, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা এবং স্থাপত্য বিভাগ রয়েছে। এখানে আবেদন করার জন্য এইচএসসি পরীক্ষায় পদার্থ, গণিত ও ইংরেজিতে পৃথকভাবে ন্যূনতম জিপিএ-৩ পেতে হবে। তবে পদার্থ, গণিত ও রসায়নে মোট জিপিএ হতে হবে ১৩। ‘খ’ বিভাগে যাঁরা ভর্তি ফরম তুলবেন, তাঁরা মুক্তহস্ত অঙ্কন পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। জিসিই ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থীদের জন্য পাঁচটি বিষয়ের প্রতিটিতে ন্যূনতম জিপিএ-৩ এবং ‘এ’ লেভেলের জন্য পদার্থ, গণিত ও রসায়ন—এই তিনটি বিষয়ের প্রতিটিতে ন্যূনতম জিপিএ-৩ পেতে হবে। বিস্তারিত জানতে চোখ রাখুন: www.cuet.ac.bd ওয়েবসাইটে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়
আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়: এই বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপত্য বিভাগের আসনসংখ্যা ৫০। এখানে আবেদনের জন্য এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমানের উভয় পরীক্ষায় মোট জিপিএ-৭ পেতে হবে, তবে এইচএসসিতে জিপিএ-৩ থাকতে হবে। জিসিই ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থীদের জন্য পাঁচটি বিষয়ের প্রতিটিতে ন্যূনতম ৩.৩০ জিপিএ থাকতে হবে। বিষয়সমূহের মধ্যে পদার্থ, গণিত, রসায়ন ও ইংরেজি আবশ্যিক থাকতে হবে। ‘এ’ লেভেলের জন্য তিনটি বিষয়ের প্রতিটিতে ন্যূনতম ৩.৩০ জিপিএ পেতে হবে, যার মধ্যে গণিত থাকা বাঞ্ছনীয়। বিস্তারিত জানতে দেখুন www.aust.edu ওয়েবসাইট।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়: এই বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপত্য বিভাগে আবেদন করার জন্য এসএসসি ও এইচএসসি উভয় পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ-২.৫০সহ মোট জিপিএ-৬.৫০ প্রয়োজন। এ ছাড়া জিসিই ‘ও’ লেভেলের জন্য ন্যূনতম পাঁচটি বিষয়ের প্রতিটিতে জিপিএ-২.৫০ এবং জিসিই ‘এ’ লেভেলের জন্য ন্যূনতম দুটি বিষয়ের প্রতিটিতে জিপিএ-২.৫০ থাকতে হবে। (স্কেল এ=৫, বি=৪, সি=৩, ডি=২, ই=১)। এখানে ‘ই’ গ্রেড গ্রহণযোগ্য নয়। এখানে ভর্তি পরীক্ষায় দুটি বিভাগ থাকে। তত্ত্বীয় ও মুক্তহস্ত অঙ্কন। ন্যূনতম ৪০ শতাংশ নম্বর পেয়ে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই কেবল মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পাওয়া যাবে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন www.bracuniversity.net ওয়েবসাইটে।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়: এখানে আবেদন করার জন্য এসএসসি ও এইচএসসি উভয় পরীক্ষায়ই দ্বিতীয় বিভাগ অথবা ন্যূনতম জিপিএ-৩.৫০ থাকতে হবে। জিসিই ‘ও’ লেভেলের জন্য ন্যূনতম পাঁচটি বিষয়ের প্রতিটিতে জিপিএ-২.৫০ এবং জিসিই ‘এ’ লেভেলের জন্য ন্যূনতম দুটি বিষয়ের প্রতিটিতে জিপিএ-২.৫০ থাকতে হবে। (স্কেল এ=৫, বি=৪, সি=৩, ডি=২, ই=১)। এখানে ‘ই’ গ্রেড গ্রহণযোগ্য নয়। বিস্তারিত জানতে চোখ রাখুন www.northsouth.edu ওয়েবসাইটে।
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (এআইইউবি): এখানে স্থাপত্য বিভাগে আবেদন করার জন্য এসএসসি ও এইচএসসি উভয় পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ-২.৭৫সহ মোট জিপিএ-৬ থাকতে হবে। যাঁরা গ্রেডিং পদ্ধতির আওতাভুক্ত নন, তাঁদের জন্য এসএসসি ও এইচএসসি উভয় পরীক্ষা মিলে ১২০০ নম্বর পেতে হবে। তবে ইংরেজিতে অবশ্যই ৪৫ শতাংশ নম্বর পেতে হবে। কোনো তৃতীয় বিভাগ গ্রহণযোগ্য নয়। জিসিই ‘ও’ লেভেলের জন্য ন্যূনতম পাঁচটি বিষয়ের প্রতিটিতে জিপিএ-৩ এবং জিসিই ‘এ’ লেভেলের জন্য ন্যূনতম দুটি বিষয়ের প্রতিটিতে জিপিএ-৩ থাকতে হবে। ‘ডি’ গ্রেড এ ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য নয়। (স্কেল এ=৫, বি=৪, সি=৩, ডি=২, ই=১)। বিস্তারিত জানতে দেখুন www.aiub.edu ওয়েবসাইটে।
এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়: এখানে স্থাপত্য বিভাগে আবেদন করার জন্য এসএসসি ও এইচএসসি উভয় পরীক্ষাতেই ন্যূনতম দ্বিতীয় বিভাগ অথবা জিপিএ-২.৫০ থাকতে হবে। জিসিই ‘ও’ এবং ‘এ’ উভয় লেভেলের সংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহে ন্যূনতম জিপিএ-২ পেতে হবে। পাশাপাশি আগ্রহী শিক্ষার্থীদের অবশ্যই মুক্তহস্ত অঙ্কন জানতে হবে। বিস্তারিত তথ্য জানতে দেখুন www.uap-bd.edu ওয়েবসাইটে।
স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়: এই বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপত্যে ভর্তির আবেদন করার জন্য এসএসসি ও এইচএসসি উভয় পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ-২.৫০ থাকতে হবে। বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য জিসিই ‘ও’ লেভেলের জন্য ন্যূনতম তিনটি এবং জিসিই ‘এ’ লেভেলের জন্য ন্যূনতম দুটি বিষয়ের প্রতিটিতে জিপিএ-৩ থাকতে হবে। (স্কেল এ=৫, বি=৪, সি=৩, ডি=২, ই=১)। বিস্তারিত জানতে চোখ রাখুন www.stamforduniversity.edu.bd ওয়েবসাইটে।
স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়: এই বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপত্য বিভাগে ভর্তির আবেদন করার জন্য এসএসসি ও এইচএসসি উভয় পরীক্ষায়ই পৃথকভাবে জিপিএ-২.৫০ পেতে হবে। শিক্ষার্থীদের পদার্থবিজ্ঞান ও গণিত থাকা বাঞ্ছনীয়। জিসিই ‘ও’ লেভেলে পাঁচটি বিষয়ের প্রতিটিতে এবং ‘এ’ লেভেলে দুটি বিষয়ের প্রতিটিতে ন্যূনতম জিপিএ-২ পেতে হবে। বিস্তারিত জানতে দেখুন www.sub.edu.bd ওয়েবসাইট।

Cabin Crew (বিমানবালা/কেবিন ক্রু)

Cabin Crew (বিমানবালা/কেবিন ক্রু)

আকাশে স্বপ্নের ঠিকানা। আকাশে উড়ার সাধ অনেকেরই থাকে। বিশেষ করে পাইলট বা এয়ার হোস্টেস হয়ে। এসব পেশায় আকাশের বুকে উড়ার পাশাপাশি জানা যায় গোটা বিশ্বকেই। এয়ার হোস্টেস বা বিমানবালা পেশার অফিসিয়াল নাম হচ্ছে কেবিন ক্রু। অনেকের কাছেই এটি একটি আকর্মনীয় পেশা।
মুখশ্রী মোটামোটি সুশ্রী, বাচন ভঙ্গি ভালো ও সুন্দর ব্যবহারের অধিকারী হতে হবে।
  • শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ এ পেশায় আসতে হলে স্নাতক পাশ হতে হবে।
  • উচ্চতাঃ কমপক্ষে ৫-২ ইঞ্চি,
  • বয়সঃ ১৮ ঊর্ধ্ব।
ইংরেজিতে দক্ষতা থাকতে হবে আর হতে হবে সহনশীল।
  • কিভাবে হবেন এয়ার হোষ্টেসঃ শূন্যপদ সৃষ্টি হলেই এয়ার লাইন্সগুলো পত্রিকায় বিঙ্গাপন দেয়। আগ্রহী প্রার্থীদের প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়।প্রার্থীর বাচন ভঙ্গী, উপস্থিত বুদ্ধি, উপস্থাপনা, হাসি সহ বিভিন্ন পরীক্ষা নেওয়া হয়। এ পরীক্ষায় উত্তীর্নদের দিতে হয় লিখিত পরীক্ষা। আর লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ন হওয়ার পর মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ন হতে হয়। এরপর ডাক্তারী পরীক্ষা। নির্বাচিতদের কাজে যোগ দেওয়ার আগে প্রশিক্ষন দিতে হয়। সেখানে একজন কেবিন ক্রু কে পড়াশোনা করতে হয় এ বিষয়ের উপর। তাদের কাজ হচ্ছে, বিমান যাত্রীদের হাসিমুখে সেবা করা এবং সুবিধা অসুবিধার দিকে লক্ষ্য রাখা। প্রশিক্ষনে কৃতকার্যদের  প্রাথমিক ভাবে ৩ বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে কর্মদক্ষতার উপর চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়। নির্ধারিত বেতন ছাড়াও  যখন যে দেশে যাবেন সে দেশে থাকা খাওয়া , ফ্লাই আওয়ার এর  ভিত্তিতে  ভাতা সব মিলিয়ে  একজন এয়ার হোষ্টেস মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করেন।

পাইলট


অনেকেরই থাকে আকাশে ওড়ার সাধ। কিন্তু মানুষ ডানা ঝাপটালেই উড়তে পারে না। তার দরকার যান্ত্রিক সহযোগিতা। একমাত্র বিমান দিয়েই পুরণ হয় মানুষের উড়ার সাধ। বিশাল এই বাহনকে যিনি উড়িয়ে নিয়ে যান তিনিই পাইলট। অনেকেরই সাধ জাগে পাইলট হতে। কিন্তু কিভাবে??

বাংলাদেশে এরকম দুটি বেসরকারী প্রতিষ্টান আছে- যাদের কাছে প্রশিক্ষন নিয়ে আপনিও হতে পারেন পাইলট।
এ দুটো প্রতিষ্টান হচ্ছে,
  • এয়ার পারাবত আর
  • বাংলাদেশ ফ্লাইং একাডেমি  অ্যান্ড জেনারেল এভিয়েশন লিমিটেড।
প্রশিক্ষন দেওয়া হয় মুলত দু ভাবে।
  • এক, ব্যক্তিগত ভাবে প্রাইভেট লাইসেন্স পাওয়ার জন্য।
  • দুই, বানিজ্যিক লাইসেন্স পাওয়ার জন্য।
কেউ কেউ ব্যক্তিগত ভাবে বিমান কিনে চালানোর জন্য লাইসেন্স নিতে চান। সেক্ষেত্রে যোগত্যা লাগবে এস এস সি পাস। আর কমার্সিয়াল লাইসেন্স এর জন্য পদার্থ ও গনিতসহ এইচ এস সি তে কমপক্ষে দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ন হতে হবে। আর বয়%

ইন্টেরিয়র ডিজাইন

পড়াশোনা শেষ করে অনেকেই ক্যারিয়ার  গড়তে চান সৃষ্টিশীল। কিন্তু একটু ভিন্ন্ রকম কোন পেশায়। সে রকম একটি পেশা ইনটেরিয়র ডেকোরেশন। আজকাল পেশা হিসেবে অনেকেই ইন্টেরিয়র ডিজাইনিং বেছে নিচ্ছেন। বিদেশ তো বটেই দেশেও এর চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপকই। এ পেশায় ভবিষ্যৎ খুবই ভালো। কারন দিনে দিনে বিভিন্ন শ্রেণীর মধ্যে ইন্টেরিয়র ডেকোরেশনের চাহিদা বাড়ছে। আর অন্যান্য পেশাতে তুমুল প্রতিযোগীতা শূরু হলেও এ পেশাতে এখনো ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ রয়েছে।  বিশেষত বিভিন্ন অফিস ব্যাংক বাসা প্রভৃতিতে এর চাহিদা বেশী। তাই ইচ্ছে করলে আপনিও আসতে পারেন এই সৃষ্টিশীল পেশায়।
  • যোগত্যাঃ এইচ এস সি, অথবা এ লেভেল
  • কোথায় শিখবঃ