পৃষ্ঠাসমূহ

শনিবার, ৪ আগস্ট, ২০১২

Lawyer (আইনজীবী)

 Lawyer (আইনজীবী)

অবজেকশন ইওর অনার! ঘটনার দিন আমার মক্কেল ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না। তিনি তাঁর কর্মস্থল ঢাকায় ছিলেন। আমার মক্কেল একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। তাঁকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে।
আদালতে আইনজীবীর এমন যুক্তিতর্ক আমাদের অনেকেরই জানা। শুনতে ভালো লাগে। অনেকেই চান বড় হয়ে এই পেশায়ই আসবেন। গাউন পরে বিচারকদের সামনে আইনি যুক্তি তুলে ধরবেন।আইন নিয়ে যাঁরা পড়াশোনা করেন, তাঁদের স্বপ্ন থাকে আইনজীবী হওয়ার। বাংলাদেশে আইনজীবী হিসেবে কাজ করতে চাইলে, আইনে স্নাতক ডিগ্রি নেওয়ার পর বাংলাদেশ বার কাউন্সিল থেকে নির্ধারিত প্রক্রিয়ায় নিতে হবে নিবন্ধন। নিবন্ধন না নিয়ে আইনজীবী হিসেবে কাজ করার কোনো সুযোগ পাবেন না আপনি।
শিক্ষানবিশি: একজন আইনের শিক্ষার্থীকে পড়াশোনা শেষ করে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নিবন্ধন নিতে তাঁকে কোনো জ্যেষ্ঠ আইনজীবীর অধীন ছয় মাস প্রশিক্ষণ (শিক্ষানবিশি) নিতে হবে। আর যাঁর অধীনে কাজ করবেন, তাঁর ন্যূনতম ১০ বছরের পেশাগত অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তবে পেশাগত প্রশিক্ষণের এ-সংক্রান্ত কাগজপত্রও আপনাকে তৈরি করে নিতে হবে। তাই যাঁর সঙ্গে কাজ করবেন, তাঁর সঙ্গে একটি চুক্তিপত্র আপনাকে করে নিতে হবে। তিনি একটি হলফনামা (এফিডেভিট) করে দেবেন আপনাকে। বাংলাদেশ বার কাউন্সিল নির্ধারিত সনদ, জ্যেষ্ঠ আইনজীবীর সঙ্গে চুক্তিপত্র, এফিডেভিটের কপি ও কাউন্সিল অনুকূলে ৪০০ টাকার ব্যাংক ড্রাফটসহ বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সচিব বরাবর জমা দিতে হবে। জ্যেষ্ঠ আইনজীবীর সঙ্গে চুক্তির ৩০ দিনের মধ্যে আবেদনটি বার কাউন্সিলে জমা দিতে হয়। তবে যাঁদের বার-অ্যাট ল বা পিএইচডি ডিগ্রি রয়েছে, তাঁদের ছয় মাসের পেশাগত প্রশিক্ষণ নিতে হবে না। বছরের যেকোনো সময় নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা যাবে।
তালিকাভুক্তি পেতে: নিবন্ধন পেতে যাঁরা আবেদন করবেন, তাঁদের আবেদন যাচাই-বাছাই করবে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল। আপনার আবেদন গৃহীত হলে আবেদনের ৬০ মাসের মধ্যে কাউন্সিল আপনাকে নিবন্ধন (রেজিস্ট্রেশন) কার্ড পাঠাবে। তাতে আপনার নিবন্ধন নম্বর উল্লেখ থাকবে। ছয় মাস পার হলে বার কাউন্সিল তাঁকে পরবর্তী নিবন্ধন পরীক্ষার জন্য নির্বাচন করবে। মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নিবন্ধন পরীক্ষা বছরে একবার হয়ে থাকে।
নিবন্ধনের ধাপ: পেশাগত প্রশিক্ষণ শেষ করে যাঁরা নিবন্ধনের জন্য আবেদন করবেন, তাঁদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় বসতে হবে। যাঁরা লিখিত পরীক্ষায় টিকবেন, তাঁরাই পরবর্তী সময়ে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন